শেখ হাসিনার ফেসবুক লাইভ বক্তৃতা: ইউনুসের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ

শেখ হাসিনার ফেসবুক লাইভ বক্তৃতা: ইউনুসের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ
கடைசியாக புதுப்பிக்கப்பட்டது: 06-02-2025

बाংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার রাতে ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ দলের সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দিয়েছেন। বক্তৃতার সময় তিনি চমকপ্রদ একটা তথ্য প্রকাশ করে বলেন যে, তার হত্যার জন্য বাংলাদেশে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। তিনি মোহাম্মদ ইউনুসের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনেন এবং বলেন যে, তিনি ও তার বোনকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন।

ঢাকা: বাংলাদেশের অপসারিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার রাতে (৫ ফেব্রুয়ারী) ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ দলের সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দিয়েছেন। তবে, এই বক্তৃতার পর ঢাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। প্রতিবাদকারীরা শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বাসভবনে হামলা করে এবং সেখানে ব্যাপক ভাংচুর করে। এই ঘটনার ফলে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বেড়েছে।

বক্তৃতার সময় শেখ হাসিনা চমকপ্রদ একটা তথ্য প্রকাশ করে বলেন যে, তার হত্যার জন্য বাংলাদেশে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। তিনি মোহাম্মদ ইউনুসের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনেন এবং বলেন যে, তিনি ও তার বোনকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন।

শেখ হাসিনা আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, "যদি আল্লাহ আমাকে এই হামলার পরেও জীবিত রেখে থাকেন, তাহলে অবশ্যই কিছু বড় কাজ করতে হবে। যদি তা না হতো, তাহলে এতবার মৃত্যুকে পরাজিত করতে পারতাম না।" তার এই বক্তব্যের পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।

শেখ হাসিনা ইউনুসকে কড়া জবাব দিয়েছেন

বাংলাদেশের অপসারিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার রাতে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দিয়ে হৃদয়বিদারক ঘটনা সম্পর্কে তার দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, "মানুষ আমার বাড়িতে আগুন কেন লাগিয়েছিল? আমি বাংলাদেশের জনগণের কাছে ন্যায়বিচার চাই। আমি কি আমার দেশের জন্য কিছু করিনি? আমাদের এত অপমান কেন করা হয়েছে?"

তারপর প্রতিবাদকারীরা শেখ হাসিনার বাসভবনে কেবল ভাংচুরই করেনি, বরং সেখানকার জিনিসপত্রও লুট করে নিয়েছে এবং বুলডোজার দিয়ে তার বাড়ি ভেঙে ফেলেছে। এই হামলায় আহত হাসিনা বলেন, "যে বাড়িতে প্রতিবাদকারীরা ভাংচুর করেছে, সে বাড়ির সাথে আমার অনেক স্মৃতি জড়িত ছিল। বাড়ি পোড়ানো যেতে পারে, কিন্তু ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না।"

মোহাম্মদ ইউনুস এবং তার সমর্থকদের চ্যালেঞ্জ করে শেখ হাসিনা বলেন, "তারা জাতীয় পতাকা এবং সংবিধানকে বুলডোজার দিয়ে ধ্বংস করতে পারে, যা আমরা লাখো শহীদের জীবনের বিনিময়ে অর্জন করেছি। কিন্তু বুলডোজার দিয়ে ইতিহাস মুছে ফেলা যাবে না।" তার এই আবেগঘন বক্তৃতা দেশবাসীর মধ্যে গভীর অনুভূতি এবং ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।

শেখ হাসিনার পিতার বাসভবনে ভাংচুর

শেখ হাসিনার ফেসবুক লাইভ বক্তৃতার পর, ঢাকার ধানমণ্ডি এলাকায় অবস্থিত তার বাসভবনের সামনে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিল। এই বাড়িটি এখন একটি স্মৃতিসৌধে পরিণত হয়েছে এবং এটিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রতিবাদকারীরা ইন্টারনেট মিডিয়ায় "বুলডোজার মিছিল" এর আহ্বানের পর এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন যে, একটি সেনা দল প্রতিবাদকারীদের বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করেছে, কিন্তু তাদের হুট্টার মুখোমুখি হতে হয়েছে। প্রতিবাদকারীরা প্রথমে ভবনের দেওয়ালে থাকা শহীদ নেতার ভাস্কর্যটির ক্ষতি করে এবং সেখানে লিখে, "এখন ৩২ নয়।" এই বার্তাটি শেখ হাসিনার পিতা, শেখ মুজিবুর রহমানের প্রসঙ্গে ছিল, যিনি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।

উল্লেখ্য যে, শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট থেকে ভারতে অবস্থান করছেন, যখন বাংলাদেশে একটি বড় ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভের পর তিনি দেশ ত্যাগ করেছিলেন। তার বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলন এবং বিক্ষোভের কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।

```

Leave a comment