সাইফ আলি খানের উপর হামলার পর পুলিশ ২০টি দল গঠন করেছে। সিসিটিভি ফুটেজে সন্দেহভাজন ব্যক্তির মুখ দেখা গেছে, করিনা কাপুরের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে, হামলাকারীর খোঁজ চলছে।
Saif ali khan Attack: সম্প্রতি সাইফ আলি খানের বাড়িতে প্রবেশ করে তাঁর উপর হওয়া প্রাণঘাতী হামলার পর এখনও পর্যন্ত হামলাকারীর পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে, এই ঘটনার সাথে জড়িত একটি নতুন তথ্য সামনে এসেছে, যেখানে বলা হচ্ছে যে হামলাকারী পুলিশের কাছ থেকে বাঁচতে নিজের চেহারা বদলে ফেলেছে এবং সকাল ৮টা পর্যন্ত বান্দ্রা থানার কাছে ঘুরে বেড়িয়েছে। এখনও পর্যন্ত হামলাকারীকে খুঁজে পেতে ২০টি পুলিশ দল কাজ করছে, কিন্তু তার কোনও সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।
সিসিটিভি ফুটেজ থেকে সন্দেহভাজনের প্রথম झलক
বৃহস্পতিবার রাতে সাইফ আলি খানের বাড়িতে হামলার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই পুলিশ ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা শুরু করে। এতে সন্দেহভাজন হামলাকারীর প্রথম झलক পাওয়া গেছে। এখন একটি নতুন ছবি সামনে এসেছে, যেখানে বলা হচ্ছে যে সন্দেহভাজন তার চেহারা বদলে ফেলেছে যাতে তাকে ধরা না যায়। এছাড়াও, সে সকাল ৮টা পর্যন্ত বান্দ্রা থানার কাছে ঘুরে বেড়িয়েছে।
করিনা কাপুরের বয়ান রেকর্ড
সাইফ আলি খানের উপর হামলার ঘটনায় তাঁর স্ত্রী করিনা কাপুর পুলিশকে বয়ান দিয়েছেন। তাঁর বয়ান শুক্রবার বান্দ্রা থানায় রেকর্ড করা হয়েছে। করিনার বয়ান থেকে এই মামলায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার আশা করা হচ্ছে।
হামলাকারী সম্পর্কে নতুন তথ্য
প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামলাকারী একটি কাঠের লাঠি এবং লম্বা ‘হেক্সা ব্লেড’ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় দেখা গেছে। পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে তারা হামলাকারীকে খুঁজে পাওয়ার জন্য ২০টি দল গঠন করেছে এবং গোপন সংবাদদাতাদের নেটওয়ার্কও সক্রিয় করেছে। সিসিটিভি ফুটেজে সন্দেহভাজনের মুখ রাত ২:৩৩ টায় দেখা গেছে, যখন সে ভবনের ছয়তম তলা থেকে সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসছিল। সেই সময় সে বাদামী রঙের কলারওয়ালা টি-শার্ট এবং লাল গামছা পরে ছিল।
ফুটেজে সন্দেহভাজনের ব্যাগ খালি দেখা গেছে
সিসিটিভি ফুটেজ থেকে এটাও জানা গেছে যে যখন সে উপরে উঠছিল তখন তার কাছে একটি ভরা ব্যাগ ছিল, কিন্তু যখন সে পালিয়ে যাচ্ছিল তখন ব্যাগটি খালি ছিল। পুলিশ মনে করছে যে সন্দেহভাজন তার পোশাক বদলেছে এবং পালানোর সময় অন্য কোথাও তার ব্যাগটি খালি করেছে।
সাইফ আলি খানের পরিবারের সুরক্ষা সংকট
সাইফ আলি খান এবং করিনা কাপুরের পরিবার বৃহস্পতিবার রাতে তাদের দুই সন্তান, জেহ এবং तैमूर, এবং পাঁচজন গৃহকর্মীর সাথে তাদের অ্যাপার্টমেন্টে উপস্থিত ছিল। এই হামলা সাইফ আলি খানের ছোট ছেলে জেহর ঘরের বাইরে ঘটেছিল। এই হামলার পর, পুলিশ হামলাকারীর পরিচয় এবং গ্রেফতারের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
পুলিশের তদন্ত এবং গোপন সংবাদদাতাদের সাহায্য
পুলিশ হামলাকারীকে খুঁজে পাওয়ার জন্য বেশ সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। সিসিটিভি ফুটেজ এবং অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। তদন্তকারী দল এখন পর্যন্ত ৪০ থেকে ৫০ জনের সাথে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, যার মধ্যে বাড়িতে কাজ করা এলিয়ামা ফিলিপ, গৃহকর্মী এবং ভবনের গার্ড রয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে তারা এখন গোপন সংবাদদাতাদের কাছ থেকেও সাহায্য নিচ্ছে এবং শীঘ্রই হামলাকারীকে গ্রেফতার করার আশা করা হচ্ছে।