জয়শঙ্করের পাল্টা: রাহুল গান্ধীর ট্রাম্পের শপথগ্রহণ-সংক্রান্ত অভিযোগ ‘মিথ্যা’

জয়শঙ্করের পাল্টা: রাহুল গান্ধীর ট্রাম্পের শপথগ্রহণ-সংক্রান্ত অভিযোগ ‘মিথ্যা’
अंतिम अपडेट: 04-02-2025

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর রাহুল গান্ধীর অভিযোগের পাল্টা জবাব দিয়ে বলেছেন যে, তিনি আমেরিকা সফর নিয়ে মিথ্যা কথা বলছেন, ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের আমন্ত্রণ নিয়ে।

জয়শঙ্কর: লোকসভায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের সাথে জড়িত অভিযোগ আনেন, যার ফলে সংসদে হইচই পড়ে। তিনি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপর গুরুতর অভিযোগ আনেন। রাহুল গান্ধীর দাবি, জয়শঙ্কর পিএম মোদীকে শপথ গ্রহণের আমন্ত্রণ আনার জন্য বারবার আমেরিকা সফর করেছেন। তিনি এও বলেন, যদি ভারতের উৎপাদন ব্যবস্থা থাকত, তাহলে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি নিজেই প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ পাঠাতেন। রাষ্ট্রপতির ভাষণের ধন্যবাদ প্রস্তাবের সময় সংসদে বক্তৃতা করার সময় রাহুল গান্ধীর এই বক্তব্য সামনে আসে।

রাহুল গান্ধীর বক্তব্য: ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ নিয়ে অভিযোগ

রাহুল গান্ধী তার বক্তব্যে আরও বলেন, "আমেরিকার কথা বললে, রাষ্ট্রপতির শপথ গ্রহণের আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীকে আনার জন্য আমরা আমাদের বিদেশমন্ত্রীকে পাঠাই না। আমরা তাকে ৩-৪ বার আমেরিকা পাঠাই না যে, প্লিজ আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ পাঠান।" তার এই বক্তব্য সরাসরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের সাথে জড়িত ছিল, যেখানে তিনি পিএম মোদীর আমন্ত্রণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।

এস জয়শঙ্করের জবাব: বক্তব্য রাজনীতি-প্রণোদিত

এর জবাবে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, রাহুল গান্ধীর বক্তব্য রাজনীতি-প্রণোদিত। তিনি বলেন, "রাহুল গান্ধী ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে আমার আমেরিকা সফর নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা বলেছেন।" জয়শঙ্কর স্পষ্ট করেন যে, তিনি বাইডেন প্রশাসনের বিদেশমন্ত্রী এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (NSA)-এর সাথে দেখা করার জন্য আমেরিকা গিয়েছিলেন এবং তার সফর সম্পূর্ণরূপে কার্যকরী ছিল, যেখানে তিনি ভারতের মহাব্যবসায়ী দূতের সভারও সভাপতিত্ব করেছিলেন।

জয়শঙ্করের ব্যাখ্যা: পিএম-এর আমন্ত্রণ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি

জয়শঙ্কর আরও বলেন, "আমার প্রवासের সময় কোন আলোচনা হয়নি যে প্রধানমন্ত্রীকে কীভাবে কোনও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পাঠানো হবে। এটা সাধারণ জ্ঞান যে প্রধানমন্ত্রী এ ধরণের অনুষ্ঠানে যোগদান করেন না এবং ভারতের প্রতিনিধিত্ব সাধারণত বিশেষ দূত করেন।" তিনি এও বলেন, রাহুল গান্ধীর এই মিথ্যা কথা রাজনৈতিক হতে পারে, কিন্তু বিদেশে এতে ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

রাজনৈতিক বিতর্ক এবং বিদেশ নীতিতে প্রভাব

জয়শঙ্কর রাহুল গান্ধীর বক্তব্যকে রাজনীতি-প্রণোদিত বলে উল্লেখ করে বলেন, এ ধরনের বক্তব্যে কেবল রাজনীতিতে বিতর্কই সৃষ্টি হয় না, বরং আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের ভাবমূর্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই বিষয়টি এখন রাজনৈতিক বিতর্কের বিষয় হয়ে উঠেছে এবং জয়শঙ্কর রাহুল গান্ধীকে তথ্য সঠিক করার আহ্বান জানিয়েছেন।

Leave a comment