মহিলা সুরক্ষায় রাজস্থানের কিশোরের উদ্ভাবনী ডিভাইস

মহিলা সুরক্ষায় রাজস্থানের কিশোরের উদ্ভাবনী ডিভাইস
अंतिम अपडेट: 05-02-2025

রাজস্থানের একজন মেধাবী ছাত্র মহিলাদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে একটি অনন্য ডিভাইস তৈরি করেছেন। এই ডিভাইসটি মহিলাদের ছিনতাই থেকে রক্ষা করবে এবং কোনও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সময় মহিলার অবস্থান তার পরিবারের কাছে পৌঁছে দেবে। এই ডিভাইসটি বিশেষভাবে জুতোতে লাগানো যাবে, যার ফলে মহিলারা নিরাপত্তার অনুভূতি পাবেন।

১৭ বছর বয়সী বিবেক চৌধুরীর উদ্ভাবনী প্রচেষ্টা

লক্ষ্মণগড়, রাজস্থানের বাসিন্দা ১৭ বছর বয়সী বিবেক চৌধুরী মহিলাদের বিরুদ্ধে বর্ধমান অপরাধ রোধের উদ্দেশ্যে এই ডিভাইসটি তৈরি করেছেন। তিনি পলিটেকনিকে পড়াশোনা করছেন এবং সমাজে মহিলাদের জন্য নিরাপত্তার বর্ধমান প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছেন। বিবেকের মতে, এই ডিভাইসটি মহিলাদের যেকোনও জায়গায় নিরাপদ অনুভব করবে, কারণ এটি জুতোতে লুকিয়ে থাকবে এবং কেবলমাত্র জরুরি অবস্থায় কাজ করবে।

ডিভাইসের বৈশিষ্ট্য এবং কার্যপ্রণালী

বিবেক এই ডিভাইসের নাম রেখেছেন WSS, যা মহিলাদের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দেয়। ডিভাইসে অন্তর্ভুক্ত প্রধান প্রযুক্তিগুলি হল - IC, LED, ভোল্টেড বুস্টার, লিথিয়াম ব্যাটারি, GPS ট্র্যাক এবং সেন্সর। ব্যাটারি চার্জ থাকলে এই ডিভাইসটি ১০০ ভোল্টের কারেন্টের झटকা দিতে পারে। মহিলা যদি চান তাহলে এই ডিভাইসটি তার অবস্থান তার পরিবারের তিনটি নম্বরে পাঠাতে পারে, যাতে তিনি দ্রুত সাহায্য পেতে পারেন।

ডিভাইসটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে, যখন কোনও মহিলা এটি ব্যবহার করবেন, তখন তাকে কেবল জুতোর হিলটিকে জোরে মারতে হবে। এরপর যদি কোনও অপরাধী মহিলার কাছে আসে এবং তাকে স্পর্শ করার চেষ্টা করে, তাহলে সে কারেন্ট অনুভব করবে। পাশাপাশি, মহিলা যদি তার অবস্থান পাঠাতে চান, তাহলে তাকে তার অন্য জুতোতে লাগানো একটি বোতাম চাপতে হবে, যার ফলে তার অবস্থান তৎক্ষণাৎ তিনটি নম্বরে পৌঁছে যাবে।

কম বাজেটে চমৎকার প্রযুক্তি

বিবেক এই ডিভাইসটি মাত্র ৩,৫০০ টাকা খরচে তৈরি করেছেন। ডিভাইসটি তৈরি করার জন্য তিনি কোনও বড় কোম্পানির সাহায্য নেননি, বরং তার তথ্য প্রযুক্তির জ্ঞান এবং কিছু সাধারণ সরঞ্জাম ব্যবহার করেছেন। এই ডিভাইসটি সহজ, কার্যকর এবং সাশ্রয়ী মূল্যের হওয়ার সাথে সাথে মহিলাদের সুরক্ষাকেও অগ্রাধিকার দেয়।

পেটেন্টের প্রস্তুতি এবং পুলিশের সাহায্য

বিবেক এখন তার এই অনন্য ডিভাইসটি পেটেন্ট করানোর পরিকল্পনা করছেন। এছাড়াও, তিনি এই ডিভাইসটি পুলিশ কর্মকর্তাদেরও দেখিয়েছেন। কর্মকর্তারা এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন এবং তাকে এই ডিভাইসটি এগিয়ে নিতে সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন। পুলিশ মনে করে যে এই ধরনের প্রচেষ্টার ফলে সমাজে মহিলাদের সুরক্ষা একটি নতুন দিক পাবে।

মহিলাদের জন্য একটি বড় স্বস্তি

বিবেকের এই প্রচেষ্টা মহিলা সুরক্ষার জন্য একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। মহিলারা এখন ভয়ের পরিবর্তে নিরাপত্তার অনুভূতি পাবে এবং কোনও বিপদের মুখোমুখি হলে নিজেকে রক্ষা করার একটি সহজ উপায় পেয়ে যাবে। এই ডিভাইসটি ব্যবহার করা খুবই উপকারী হবে সেই মহিলাদের জন্য যারা জনসাধারণের স্থানে একা থাকেন এবং তাদের সবসময় কোনও না কোনও বিপদের মুখোমুখি হতে হয়।

সমাজে পরিবর্তনের প্রয়োজন

আজকের দ্রুতগতির এবং প্রযুক্তিগত বিশ্বে মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বিবেকের এই পদক্ষেপ প্রশংসনীয়, যা সমাজে পরিবর্তন আনার দিকে একটি ইতিবাচক উদ্যোগ। এই ডিভাইস দিয়ে মহিলা সুরক্ষা নিয়ে একটি নতুন আশা জেগে উঠেছে এবং এটি দেখায় যে ছোটো ছোটো প্রচেষ্টার মাধ্যমে বড় পরিবর্তন আনা যায়।

আগামীর পথ

বিবেক এখন তার এই ডিভাইসটি ব্যাপকভাবে উন্নত করার পরিকল্পনা করছেন। এজন্য তিনি বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে সাহায্য নেওয়ার কথা ভাবছেন যাতে এটিকে আরও উন্নত করা যায়। পাশাপাশি, তিনি এটিকে বাজারে উপলব্ধ করে অধিকাংশ মহিলার কাছে পৌঁছে দিতে চান যাতে তারা এর সুবিধা পেতে পারেন।

রাজস্থানের বিবেক চৌধুরী তার ক্ষমতা এবং সমর্পণের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন যে কোনও সমস্যার সমাধান অবশ্যই আছে, যদি সে সমস্যা সমাধানের দিকে সঠিকভাবে কাজ করা হয়। এই ডিভাইসটি মহিলাদের সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়া একটি নতুন প্রযুক্তিগত উদ্যোগ, যা সমাজে পরিবর্তনের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।

Leave a comment