এনসিপি (এসপি) জয়ন্ত পাটিলকে সরানোর খবরকে ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেছে।
মহারাষ্ট্র সংবাদ: গত বছরের বিধানসভা নির্বাচনে হতাশাজনক ফলের পর মহারাষ্ট্রে শরদ পোঁওয়ারের নেতৃত্বাধীন জাতীয় কংগ্রেস দল (এনসিপি) তাদের রাজ্য সভাপতি জয়ন্ত পাটিলকে সরানোর খবরকে ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করেছে। দলটি এই ধরনের খবরকে অস্বীকার করেছে। দলের রাজ্য প্রবক্তা প্রবীণ কুণ্টে মিডিয়ার দ্বারা উত্থাপিত এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন যে, এই খবরের লক্ষ্য পাটিলের চরিত্রকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা।
প্রবীণ কুণ্টে স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া দিলেন
প্রবীণ কুণ্টে বলেন, "মিডিয়ার একটি অংশ জানাশোনাভাবে দলের বৈঠকে জয়ন্ত পাটিলকে সরানোর দাবি নিয়ে ভুল তথ্য ছড়িয়ে দিয়েছে। এই বিষয়ে কোন বৈঠকে কোন আলোচনা হয়নি, এবং এটি কেবল কিছু মিডিয়া আউটলেটের ভুল বোঝাবুঝি।" তিনি এই ধরণের ভুল তথ্যকে দলের চরিত্রে ক্ষতি সাধন হিসেবে নিন্দা করেন এবং স্পষ্ট করে বলেন যে, এনসিপি (এসপি) এই ধরনের প্রতিবেদনকে নিন্দা করে।
নভেম্বরের বিধানসভা নির্বাচনের প্রভাব
নভেম্বরে অনুষ্ঠিত মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে এনসিপি (এসপি) হতাশাজনক ফলের মুখোমুখি হয়েছিল। দলটি ২৮৮ সদস্য বিধানসভার নির্বাচনে ৯০ জন প্রার্থী পাঠিয়েছিল, কিন্তু মাত্র ১০ জন সফল হয়েছিলেন। এই নির্বাচনে বিরোধী মহাবিকাশ আঘাড়ি (এমভিএ) ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল, অন্যদিকে মহাযুতি দল ডেভেন্দ্র ফড়নবিসের নেতৃত্বে সরকার গঠন করে উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছিল।
বৈঠকে কী হয়েছিল?
দলটি সম্প্রতি মুম্বইয়ে দুই দিনের একটি বৈঠক করেছে, যাতে শরদ পোঁওয়ার, কার্যনির্বাহী সভাপতি সুপ্রিয়া সুলে এবং রাজ্য সভাপতি জয়ন্ত পাটিল অংশগ্রহণ করেছিলেন। বৈঠকের পর মিডিয়া জয়ন্ত পাটিলকে সরানোর খবর প্রচার করে, যা এনসিপি সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে।
দল মিডিয়াকে নিন্দা করেছে।
এনসিপি অভিযোগ করেছে যে, কিছু মিডিয়া সংস্থা দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলিকে ভুলভাবে উপস্থাপন করছে। প্রবীণ কুণ্টে স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে, দলের কোনও নেতা এই বিষয়ে কোনও মতামত ব্যক্ত করেননি, এবং এটি কেবল একটি ভুল বোঝাবুঝির ফলাফল।
এই ঘটনাটি দলের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়িয়েছে, কিন্তু এনসিপি এই ব্যাপারে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করে সকল গুজব অস্বীকার করেছে।