কংগ্রেস নেতা রাজ বাবর মুখ্যমন্ত্রী যোগীর ‘বন্টেঙ্গে তো কাটেঙ্গে’ বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন যে, তিনি উত্তরপ্রদেশের সংস্কৃতি এবং মহারাষ্ট্রের ঐতিহ্যের সাথে ভালোভাবে পরিচিত, এবং এই ধরণের কথা সমাজকে বিভক্ত করে।
মুম্বাই: কংগ্রেস নেতা রাজ বাবর উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিতর্কিত ‘বন্টেঙ্গে তো কাটেঙ্গে’ বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি এটিকে নিজের সংস্কৃতি ও মানসিকতার বিরুদ্ধে বলে উল্লেখ করেছেন। বাবর বলেছেন যে, তিনি সেই মতাদর্শের সাথে নন যা ভূমি ভাগাভাগি ও বিচ্ছিন্নতার কথা বলে।
উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উল্লেখ
রাজ বাবর উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উল্লেখ করে বলেছেন, "আমি উত্তরপ্রদেশ থেকে, যেখানে শিবাজী মহারাজ এবং সম্ভাজিকে তিলক করা হত। আমি সেই সংস্কৃতির অংশ, যা সমাজকে একত্রিত করার কথা বলে, বিভক্ত করার নয়।" তিনি বলেছেন যে, তিনি মহারাষ্ট্রের ঐতিহ্যও বুঝেন, কিন্তু ‘বিভক্তি’র মানসিকতার সাথে তার কোনো সম্পর্ক নেই।
যোগী আদিত্যনাথের ‘বন্টেঙ্গে তো কাটেঙ্গে’ স্লোগান
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ‘বন্টেঙ্গে তো কাটেঙ্গে’ স্লোগান বর্তমানে রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এই স্লোগান হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড এবং মহারাষ্ট্রে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। যোগীর এই বক্তব্য বিরোধী নেতাদের প্রশ্ন উত্থাপনের সুযোগ দিয়েছে, অন্যদিকে বিজেপি এটিকে নিজেদের নির্বাচনী কৌশলের অংশ হিসেবে বিবেচনা করছে।
বিরোধী নেতাদের প্রতিক্রিয়া এবং রাজনৈতিক উত্তেজনা
‘বন্টেঙ্গে তো কাটেঙ্গে’ স্লোগান নিয়ে বিরোধী নেতাদের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ পেয়েছে, যার মধ্যে শিবসেনা নেতা উদ্ধব ঠাকুরেও প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন। বিরোধী দলগুলি মনে করে যে, এই স্লোগান সমাজকে বিভক্ত করে, অন্যদিকে বিজেপি এটিকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দিকে এক ধাপ হিসেবে মনে করে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই স্লোগান নির্বাচনে বিজেপিকে সুবিধা দিয়েছে এবং বিরোধী দলগুলিতে উদ্বেগ বৃদ্ধি করেছে।